রুদ্রজ ব্রাহ্মণ ভিজিট করার জন্য আপনাকে সুস্বাগতম

ধর্ম , সাহিত্য , কলা এবং শিক্ষা

শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

শিবগীতা Shivagita

নমস্কার বন্ধুগণ , আশা করি আপনারা পরম করুনাময় ঈশ্বরের কৃপায় ভালই আছেন । আজকে আবার আমি পবিত্র শিবগীতা নিয়ে উপস্থিত হয়েছি । আজকে লিখিত হচ্ছে বিশ্বরূপ দর্শণ নামক সপ্তম অধ্যায়ের 36 নম্বর শ্লোক । 
' সংসর্জনে বাহপ্যবনে বিনাশে বিশ্বস্য কিঞ্চিত্তব নাস্তি কার্য্যম্ । অনাদিভিঃ প্রাণভৃতামদৃষ্টৈস্তথাপি তৎস্বপ্নবদাতনোষি।।36।। ___________________________এর অনুবাদ :-- এই বিশ্ব সংসারের উৎপত্তি , রক্ষা এবং বিনাশের ক্ষেত্রেও তোমার কিছু কর্তব্য নেই । কেবল অনাদি সিদ্ধ দেহধারীদের কর্ম অনুসারে তুমি স্বপ্নবৎ সকল কার্য্য করে থাকো । জীব এবং শিবের মধ্যে কেবল বিম্ব আর প্রতিবিম্বের মতো পার্থক্য । __________________________ এখন আমি ব্যাখ্যায় আসছি মন দিয়ে পড়ুন  -- পরমেশ্বর শিবের বিশ্বরূপ দর্শণ করার পর শ্রীরামচন্দ্রের মধ্যে এই বিশ্ব জগৎ সৃষ্টির সত্য জ্ঞান উৎপন্ন হয়ে যায় । তিনি বেদান্তের পরম রহস্যকে উপলব্ধি করে তার অভিব্যক্তি ব্যাক্ত করছেন । এই সূত্রটি বেদান্তের সার । বেদান্ত অনুসারে ঈশ্বর স্বয়ং কর্ত্তা নন । তিনি কোনও কর্ম করেন না এবং কোনও কর্ম্মের ফলও প্রদান করেন না । সৃষ্টির উৎপত্তি , তার পালন এবং তার বিনাশ কার্য্য করার ক্ষেত্রে ঈশ্বরের কোনও রকম কর্ত্তব্য নেই । ঈশ্বর স্বেচ্ছায় কোনও কার্য্য করেন না কিন্তু তার শক্তির ( মায়া ) দ্বারা সকল কার্য্য সাধিত হচ্ছে । তাই ঈশ্বরের মধ্যে কোনও রূপ কর্ত্তব্যের অভিমানও নেই যে , আমিই সৃষ্টি , পালন ও ধ্বংস ইত্যাদি কর্ম করি । শ্রীরামচন্দ্র শিবতত্ত্ব অর্থাৎ ঈশ্বরতত্ত্ব রহস্য উদ্ঘাটন করেছেন , তাই তিনি পরমতত্ত্ব পরমেশ্বর শিবকে বলছেন -- যেভাবে মনুষ্য স্বপ্নে নানা প্রকার কর্ম করে থাকে যেমন স্বপ্নে পাঁখা মেলে আকাশে উড়ছে ইত্যাদি । কিন্তু বাস্তবে সেই মানুষ কখনই বলতে পারবে না যে আমি সেই কর্ম করেছি , আমি আকাশে উড়েছি । এসব তার বিচার অনুসারে নিজে নিজেই দর্শণ দিয়েছে । এখানে তো কোনও কর্মই সাধিত হয়নি , শুধু দেখেছে মাত্র যে আমি পাঁখা মেলে আকাশে উড়েছি । ঠিক এভাবেই হে পরমেশ্বর শিব ! আপনি সৃষ্টি , পালন এবং ধ্বংস ইত্যাদি কর্ম করে থাকেন এমনটি অজ্ঞানীজনরাই দর্শণ করেন । বাস্তবে এই সকল কার্য্য নিজ নিজ কর্মানুসারে হয়ে থাকে । আপনি কিছুই করেন না । এইসব কর্মসকল কেবল জীবাত্মার কর্ম অনুসারে হয়ে থাকে । জীবাত্মা ঈশ্বরের প্রতিবিম্ব তথা ঈশ্বর বিম্ব , যার কারণ জীবাত্মাই কর্ম করেন এবং কর্মের ফল ভোগ করেন । বিম্ব এবং প্রতিবিম্ব অর্থাৎ পরমাত্মা এবং জীবাত্মা অর্থাৎ ঈশ্বর এবং দেহধারীর মধ্যে এটাই পার্থক্য ।।36।। নমস্কার বন্ধুগণ শুভশিবরাত্রির শুভকামনার সাথে বিদায় নিচ্ছি , পরম মঙ্গলময় ঈশ্বর আপনাদের সকলের মঙ্গল করুক । আশা করি এই শিবগীতা লেখাটি আপনাদের ভালো লেগেছে , আর যদি ভালো লেগে থাকে তবে দেরি না করে দয়া করে পোস্টটি আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ফেলুন ।   ওঁ নমঃ শিবায় , হর হর মহাদেব ।।

উপনিষদ্ পরিচয় UPANISHAD PARICHAY

প্রিয় পাঠক আপনাদের সবাইকে নমস্কার জানিয়ে শুরু করছি আলোচ্য বিষয় উপনিষদ্ পরিচয় । উপনিষদ হিন্দু ধর্মের মহত্ত্বপূর্ণ ধর্মগ্রন্থ । যা ব...