শিবগীতা :--বিশ্বরূপ দর্শণ নামক সপ্তম অধ্যায়
অজ্ঞানমূঢ়া মুনয়ো বদন্তি পূজোপচারাদিব হি ক্রিয়াভিঃ।
তোষং গিরীশো ভজতীতি মিথ্যা কুতস্ত্বমূর্তস্য তু ভোগলিপ্সা ।।32।।
কিঞ্চিদ্দলং বা চুলকোদকং বা যস্ত্বং মহেশ প্রতিগৃহ্য দৎসে ।
ত্রৈলোক্যলক্ষ্মীমপি যজ্জনেভ্যঃ সর্বত্ববিদ্যাকৃতমেব মন্যে ।।33।।
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
অনুবাদ -- জ্ঞানহীন অবিচারী মুনিরাই বলেন , ভগবান শিব পূজা বা যজ্ঞাদির মতো বাহ্যিক কর্ম দ্বারা সন্তুষ্ট হয় ,কিন্তু একথা প্রকৃত পক্ষে মিথ্যা । কারণ যিনি মূর্তিহীন , পরিমাণহীন এবং অনন্ত তার কোনও ভোগবাসনা নেই ।
এর ব্যাখ্যা --- বিশ্বরূপ দর্শণ করার পর রামচন্দ্রের আত্মজ্ঞানের উদয় হয় । তখন রামচন্দ্র ভগবান শিবকে বললেন - যে ব্যক্তি তত্ত্বজ্ঞানহীন তথা যে কখনও বিচারই করেননি , যে শিব স্বয়ং সকলের পালন পোষন করে থাকেন , সেই শিব তোমাদের পূজা , পাঠ , যাগ-যজ্ঞাদির কোনও রকম অপেক্ষা করে না এবং এসব বাহ্য কর্মের দ্বারা সন্তুষ্টও হয় না । অজ্ঞানী মূঢ় ব্যক্তিরাই পরমেশ্বর শিবকে পূূজা , পাঠ , যজ্ঞাদির দ্বারা প্রসন্ন করার প্রযত্ন করেন । হে পরমেশ্বর ! আপনি তো নিরাকার , পরিমানহীন এবং অনন্ত । আপনার মানুষের দেওয়া ভোগের কোনও লিপ্সা নেই এবং তাতে আপনি প্রসন্নও হন না । যার ঈশ্বর সম্পর্কে জ্ঞানই নেই সেই এরূপ অবিচার পূর্ণ কথা বলে থাকেন ।।32।।
এইরূপ কিঞ্চিৎ বেলপাতা এবং সামান্য জল দিয়ে যে ব্যক্তি প্রীতির সাথে আপনার অর্চণা করে , আপনি তা তৃপ্তির সাথে স্বীকার করে সন্তুষ্ট পূর্বক তাকে ত্রিলোক ও ঐশ্বর্য্য দান করেন এটাও মায়া দ্বারা কল্পিত এরূপ আমি মনে করি ।
এর ব্যাখ্যা --- শ্রীরামচন্দ্র বললেন যে -- যে ব্যক্তি মনে করেন ভগবান শিবকে দু-একটি বেলপাতা আর সামান্য জল দিয়ে অভিষেক করলেই তিনি প্রসন্ন হয়ে তাকে মুক্ত করে দেবেন , এটাও মায়া প্রসূত । অজ্ঞানতা বশতই লোক এরূপ মনে করেন । ।33।।
বন্ধুরা আমার এই ধর্মীয় পোস্ট শিবগীতা হয়তো আপনাদের ভালো লেগেছে , ভালো লাগলে অবশ্যই সোস্যাল মিডিয়াতে Share করুন । ওঁ নমঃ শিবায় , নমস্কার
অজ্ঞানমূঢ়া মুনয়ো বদন্তি পূজোপচারাদিব হি ক্রিয়াভিঃ।
তোষং গিরীশো ভজতীতি মিথ্যা কুতস্ত্বমূর্তস্য তু ভোগলিপ্সা ।।32।।
কিঞ্চিদ্দলং বা চুলকোদকং বা যস্ত্বং মহেশ প্রতিগৃহ্য দৎসে ।
ত্রৈলোক্যলক্ষ্মীমপি যজ্জনেভ্যঃ সর্বত্ববিদ্যাকৃতমেব মন্যে ।।33।।
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
অনুবাদ -- জ্ঞানহীন অবিচারী মুনিরাই বলেন , ভগবান শিব পূজা বা যজ্ঞাদির মতো বাহ্যিক কর্ম দ্বারা সন্তুষ্ট হয় ,কিন্তু একথা প্রকৃত পক্ষে মিথ্যা । কারণ যিনি মূর্তিহীন , পরিমাণহীন এবং অনন্ত তার কোনও ভোগবাসনা নেই ।
এর ব্যাখ্যা --- বিশ্বরূপ দর্শণ করার পর রামচন্দ্রের আত্মজ্ঞানের উদয় হয় । তখন রামচন্দ্র ভগবান শিবকে বললেন - যে ব্যক্তি তত্ত্বজ্ঞানহীন তথা যে কখনও বিচারই করেননি , যে শিব স্বয়ং সকলের পালন পোষন করে থাকেন , সেই শিব তোমাদের পূজা , পাঠ , যাগ-যজ্ঞাদির কোনও রকম অপেক্ষা করে না এবং এসব বাহ্য কর্মের দ্বারা সন্তুষ্টও হয় না । অজ্ঞানী মূঢ় ব্যক্তিরাই পরমেশ্বর শিবকে পূূজা , পাঠ , যজ্ঞাদির দ্বারা প্রসন্ন করার প্রযত্ন করেন । হে পরমেশ্বর ! আপনি তো নিরাকার , পরিমানহীন এবং অনন্ত । আপনার মানুষের দেওয়া ভোগের কোনও লিপ্সা নেই এবং তাতে আপনি প্রসন্নও হন না । যার ঈশ্বর সম্পর্কে জ্ঞানই নেই সেই এরূপ অবিচার পূর্ণ কথা বলে থাকেন ।।32।।
এইরূপ কিঞ্চিৎ বেলপাতা এবং সামান্য জল দিয়ে যে ব্যক্তি প্রীতির সাথে আপনার অর্চণা করে , আপনি তা তৃপ্তির সাথে স্বীকার করে সন্তুষ্ট পূর্বক তাকে ত্রিলোক ও ঐশ্বর্য্য দান করেন এটাও মায়া দ্বারা কল্পিত এরূপ আমি মনে করি ।
এর ব্যাখ্যা --- শ্রীরামচন্দ্র বললেন যে -- যে ব্যক্তি মনে করেন ভগবান শিবকে দু-একটি বেলপাতা আর সামান্য জল দিয়ে অভিষেক করলেই তিনি প্রসন্ন হয়ে তাকে মুক্ত করে দেবেন , এটাও মায়া প্রসূত । অজ্ঞানতা বশতই লোক এরূপ মনে করেন । ।33।।
বন্ধুরা আমার এই ধর্মীয় পোস্ট শিবগীতা হয়তো আপনাদের ভালো লেগেছে , ভালো লাগলে অবশ্যই সোস্যাল মিডিয়াতে Share করুন । ওঁ নমঃ শিবায় , নমস্কার
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন