' সংসর্জনে বাহপ্যবনে বিনাশে বিশ্বস্য কিঞ্চিত্তব নাস্তি কার্য্যম্ । অনাদিভিঃ প্রাণভৃতামদৃষ্টৈস্তথাপি তৎস্বপ্নবদাতনোষি।।36।। ___________________________এর অনুবাদ :-- এই বিশ্ব সংসারের উৎপত্তি , রক্ষা এবং বিনাশের ক্ষেত্রেও তোমার কিছু কর্তব্য নেই । কেবল অনাদি সিদ্ধ দেহধারীদের কর্ম অনুসারে তুমি স্বপ্নবৎ সকল কার্য্য করে থাকো । জীব এবং শিবের মধ্যে কেবল বিম্ব আর প্রতিবিম্বের মতো পার্থক্য । __________________________ এখন আমি ব্যাখ্যায় আসছি মন দিয়ে পড়ুন -- পরমেশ্বর শিবের বিশ্বরূপ দর্শণ করার পর শ্রীরামচন্দ্রের মধ্যে এই বিশ্ব জগৎ সৃষ্টির সত্য জ্ঞান উৎপন্ন হয়ে যায় । তিনি বেদান্তের পরম রহস্যকে উপলব্ধি করে তার অভিব্যক্তি ব্যাক্ত করছেন । এই সূত্রটি বেদান্তের সার । বেদান্ত অনুসারে ঈশ্বর স্বয়ং কর্ত্তা নন । তিনি কোনও কর্ম করেন না এবং কোনও কর্ম্মের ফলও প্রদান করেন না । সৃষ্টির উৎপত্তি , তার পালন এবং তার বিনাশ কার্য্য করার ক্ষেত্রে ঈশ্বরের কোনও রকম কর্ত্তব্য নেই । ঈশ্বর স্বেচ্ছায় কোনও কার্য্য করেন না কিন্তু তার শক্তির ( মায়া ) দ্বারা সকল কার্য্য সাধিত হচ্ছে । তাই ঈশ্বরের মধ্যে কোনও রূপ কর্ত্তব্যের অভিমানও নেই যে , আমিই সৃষ্টি , পালন ও ধ্বংস ইত্যাদি কর্ম করি । শ্রীরামচন্দ্র শিবতত্ত্ব অর্থাৎ ঈশ্বরতত্ত্ব রহস্য উদ্ঘাটন করেছেন , তাই তিনি পরমতত্ত্ব পরমেশ্বর শিবকে বলছেন -- যেভাবে মনুষ্য স্বপ্নে নানা প্রকার কর্ম করে থাকে যেমন স্বপ্নে পাঁখা মেলে আকাশে উড়ছে ইত্যাদি । কিন্তু বাস্তবে সেই মানুষ কখনই বলতে পারবে না যে আমি সেই কর্ম করেছি , আমি আকাশে উড়েছি । এসব তার বিচার অনুসারে নিজে নিজেই দর্শণ দিয়েছে । এখানে তো কোনও কর্মই সাধিত হয়নি , শুধু দেখেছে মাত্র যে আমি পাঁখা মেলে আকাশে উড়েছি । ঠিক এভাবেই হে পরমেশ্বর শিব ! আপনি সৃষ্টি , পালন এবং ধ্বংস ইত্যাদি কর্ম করে থাকেন এমনটি অজ্ঞানীজনরাই দর্শণ করেন । বাস্তবে এই সকল কার্য্য নিজ নিজ কর্মানুসারে হয়ে থাকে । আপনি কিছুই করেন না । এইসব কর্মসকল কেবল জীবাত্মার কর্ম অনুসারে হয়ে থাকে । জীবাত্মা ঈশ্বরের প্রতিবিম্ব তথা ঈশ্বর বিম্ব , যার কারণ জীবাত্মাই কর্ম করেন এবং কর্মের ফল ভোগ করেন । বিম্ব এবং প্রতিবিম্ব অর্থাৎ পরমাত্মা এবং জীবাত্মা অর্থাৎ ঈশ্বর এবং দেহধারীর মধ্যে এটাই পার্থক্য ।।36।। নমস্কার বন্ধুগণ শুভশিবরাত্রির শুভকামনার সাথে বিদায় নিচ্ছি , পরম মঙ্গলময় ঈশ্বর আপনাদের সকলের মঙ্গল করুক । আশা করি এই শিবগীতা লেখাটি আপনাদের ভালো লেগেছে , আর যদি ভালো লেগে থাকে তবে দেরি না করে দয়া করে পোস্টটি আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ফেলুন । ওঁ নমঃ শিবায় , হর হর মহাদেব ।।
রুদ্রজ ব্রাহ্মণ ভিজিট করার জন্য আপনাকে সুস্বাগতম
শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
শিবগীতা Shivagita
' সংসর্জনে বাহপ্যবনে বিনাশে বিশ্বস্য কিঞ্চিত্তব নাস্তি কার্য্যম্ । অনাদিভিঃ প্রাণভৃতামদৃষ্টৈস্তথাপি তৎস্বপ্নবদাতনোষি।।36।। ___________________________এর অনুবাদ :-- এই বিশ্ব সংসারের উৎপত্তি , রক্ষা এবং বিনাশের ক্ষেত্রেও তোমার কিছু কর্তব্য নেই । কেবল অনাদি সিদ্ধ দেহধারীদের কর্ম অনুসারে তুমি স্বপ্নবৎ সকল কার্য্য করে থাকো । জীব এবং শিবের মধ্যে কেবল বিম্ব আর প্রতিবিম্বের মতো পার্থক্য । __________________________ এখন আমি ব্যাখ্যায় আসছি মন দিয়ে পড়ুন -- পরমেশ্বর শিবের বিশ্বরূপ দর্শণ করার পর শ্রীরামচন্দ্রের মধ্যে এই বিশ্ব জগৎ সৃষ্টির সত্য জ্ঞান উৎপন্ন হয়ে যায় । তিনি বেদান্তের পরম রহস্যকে উপলব্ধি করে তার অভিব্যক্তি ব্যাক্ত করছেন । এই সূত্রটি বেদান্তের সার । বেদান্ত অনুসারে ঈশ্বর স্বয়ং কর্ত্তা নন । তিনি কোনও কর্ম করেন না এবং কোনও কর্ম্মের ফলও প্রদান করেন না । সৃষ্টির উৎপত্তি , তার পালন এবং তার বিনাশ কার্য্য করার ক্ষেত্রে ঈশ্বরের কোনও রকম কর্ত্তব্য নেই । ঈশ্বর স্বেচ্ছায় কোনও কার্য্য করেন না কিন্তু তার শক্তির ( মায়া ) দ্বারা সকল কার্য্য সাধিত হচ্ছে । তাই ঈশ্বরের মধ্যে কোনও রূপ কর্ত্তব্যের অভিমানও নেই যে , আমিই সৃষ্টি , পালন ও ধ্বংস ইত্যাদি কর্ম করি । শ্রীরামচন্দ্র শিবতত্ত্ব অর্থাৎ ঈশ্বরতত্ত্ব রহস্য উদ্ঘাটন করেছেন , তাই তিনি পরমতত্ত্ব পরমেশ্বর শিবকে বলছেন -- যেভাবে মনুষ্য স্বপ্নে নানা প্রকার কর্ম করে থাকে যেমন স্বপ্নে পাঁখা মেলে আকাশে উড়ছে ইত্যাদি । কিন্তু বাস্তবে সেই মানুষ কখনই বলতে পারবে না যে আমি সেই কর্ম করেছি , আমি আকাশে উড়েছি । এসব তার বিচার অনুসারে নিজে নিজেই দর্শণ দিয়েছে । এখানে তো কোনও কর্মই সাধিত হয়নি , শুধু দেখেছে মাত্র যে আমি পাঁখা মেলে আকাশে উড়েছি । ঠিক এভাবেই হে পরমেশ্বর শিব ! আপনি সৃষ্টি , পালন এবং ধ্বংস ইত্যাদি কর্ম করে থাকেন এমনটি অজ্ঞানীজনরাই দর্শণ করেন । বাস্তবে এই সকল কার্য্য নিজ নিজ কর্মানুসারে হয়ে থাকে । আপনি কিছুই করেন না । এইসব কর্মসকল কেবল জীবাত্মার কর্ম অনুসারে হয়ে থাকে । জীবাত্মা ঈশ্বরের প্রতিবিম্ব তথা ঈশ্বর বিম্ব , যার কারণ জীবাত্মাই কর্ম করেন এবং কর্মের ফল ভোগ করেন । বিম্ব এবং প্রতিবিম্ব অর্থাৎ পরমাত্মা এবং জীবাত্মা অর্থাৎ ঈশ্বর এবং দেহধারীর মধ্যে এটাই পার্থক্য ।।36।। নমস্কার বন্ধুগণ শুভশিবরাত্রির শুভকামনার সাথে বিদায় নিচ্ছি , পরম মঙ্গলময় ঈশ্বর আপনাদের সকলের মঙ্গল করুক । আশা করি এই শিবগীতা লেখাটি আপনাদের ভালো লেগেছে , আর যদি ভালো লেগে থাকে তবে দেরি না করে দয়া করে পোস্টটি আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ফেলুন । ওঁ নমঃ শিবায় , হর হর মহাদেব ।।
মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮
শিবগীতা Shivagita
শিবগীতা :- বিশ্বরূপ দর্শন নামক সপ্তম অধ্যায় :--
ব্যাপ্নোষি সর্বা বিদিশো দিশশ্চ ত্বং বিশ্বমেকঃ পুরুষঃ পুরাণঃ। নষ্টেহপি তস্মিংস্তব নাস্তি হানির্ঘটে বিনষ্টে নভসো যথৈব ।।34।।
যথৈকমাকাশগমর্কবিম্ব ক্ষুদ্রেষু পাত্রেষু জলান্বিতেষু । ভজত্যনেকপ্রতিবিম্বভাবং তথা ত্বমন্তঃকরণেষু দেব ।।35।। ___________________________অনুবাদ :- আপনিই একমাত্র পুরাতন পুরুষ , সমস্ত দিক - বিদিক এবং সম্পূর্ণ বিশ্ব পরিব্যাপ্ত হয়ে বিরাজ করছেন । এই জগৎ ধ্বংস হয়ে গেলেও আপনার বিনাশ হয় না । যেমন করে ঘট নষ্ট বা ভেঙে গেলেও ঘটে ব্যাপ্ত আকাশের হানি হয় না ।
ব্যাখ্যা :-- বিশ্বরূপ দর্শণ করার পর রামচন্দ্র ঈশ্বরের প্রকৃত স্বরূপ জানতে পারেন । তাই তিনি পরমেশ্বর শিবকে বলছেন , হে প্রভু ! আপনিই ঈশ্বররূপে সর্বব্যাপী এবং বিনাশহীন । আপনি সর্বত্র বিরাজিত , আপনার থেকেই এই সম্পূর্ণ জগৎ সৃষ্টি হয়েছে । সৃষ্টির বিনাশ হয়ে গেলেও আপনার বিনাশ হয় না । যেমন ঘট ভেঙে গেলেও ঘটের ভেতরের আকাশ নষ্ট হয় না , সে বাহ্য আকাশে মিশে যায় । তেমনই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ধ্বংস হয়ে গেলেও আপনার বিনাশ হয় না । ঘট নষ্ট হতে পারে কিন্তু তার মাটি নষ্ট হয় না , যার থেকে নতুন ঘটের নির্মাণ হতে পারে । অনরূপ ভাবে বিনাশহীন ঈশ্বর হতে পুনঃ নতুন সৃষ্টি হয় ।।34।।
যে প্রকার আকাশে একমাত্র সূর্য্যের বিম্ব জলপূর্ণ ছোট ছোট পাত্রে প্রতিবিম্বিত হয়ে অনেক প্রকার বলে মনে হয় , সেই প্রকার আপনি এক এবং অদ্বিতীয় হয়েও নানা লোকের নানা অন্তরে নানা রূপে প্রকাশিত হন।
ব্যাখ্যা :-- সমস্ত শরীরধারীর মধ্যে যে আত্মা রয়েছে সেইসব আত্মা কি ভিন্ন ভিন্ন না এক । এই ভাবনাকে স্পষ্ট করার জন্য রামচন্দ্র বলছেন , একই সূর্য্যকে , একই প্রকাশকে যদি পৃথক পৃথক রূপের অনেক জলপাত্রে দেখা যায় , তবে একই সূর্য্যকে অনেক এবং ভিন্ন ভিন্ন বলে মনে হবে । অজ্ঞানীজন পাত্রের ভিন্নতার কারণ সূর্য্যকেই ভিন্ন ভিন্ন বা অনেক মনে করেন । তারা ভাবেন ভিন্ন পাত্রে ভিন্ন সূর্য্য রয়েছে । ঠিক এভাবেই বিভিন্ন মানুষের অন্তঃকরণরূপী পাত্রে একই ঈশ্বরের বিম্ব পতিত হয় কিন্তু অজ্ঞানীজন আত্মাকে ভিন্ন ভিন্ন বিবেচনা করে বলে থাকেন যে , সকলের আত্মা ভিন্ন ভিন্ন হয় । বাস্তবে অন্তঃকরণই ভিন্ন ভিন্ন হয় , আত্মা সকলের একই হয় । যে ব্যাক্তি অন্তঃকরণকেই আত্মা মনে করেন সেই ব্যাক্তি আত্মাকে ভিন্ন ভিন্ন বা অনেক বলে মনে করেন ।।35।।
নমস্কার বন্ধুগণ ভালো লাগলে পোস্টটিকে অবশ্যই সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন ।
ওঁ নমঃ শিবায় , হর হর মহাদেব।
শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৮
Shivagita শিবগীতা
অজ্ঞানমূঢ়া মুনয়ো বদন্তি পূজোপচারাদিব হি ক্রিয়াভিঃ।
তোষং গিরীশো ভজতীতি মিথ্যা কুতস্ত্বমূর্তস্য তু ভোগলিপ্সা ।।32।।
কিঞ্চিদ্দলং বা চুলকোদকং বা যস্ত্বং মহেশ প্রতিগৃহ্য দৎসে ।
ত্রৈলোক্যলক্ষ্মীমপি যজ্জনেভ্যঃ সর্বত্ববিদ্যাকৃতমেব মন্যে ।।33।।
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
অনুবাদ -- জ্ঞানহীন অবিচারী মুনিরাই বলেন , ভগবান শিব পূজা বা যজ্ঞাদির মতো বাহ্যিক কর্ম দ্বারা সন্তুষ্ট হয় ,কিন্তু একথা প্রকৃত পক্ষে মিথ্যা । কারণ যিনি মূর্তিহীন , পরিমাণহীন এবং অনন্ত তার কোনও ভোগবাসনা নেই ।
এর ব্যাখ্যা --- বিশ্বরূপ দর্শণ করার পর রামচন্দ্রের আত্মজ্ঞানের উদয় হয় । তখন রামচন্দ্র ভগবান শিবকে বললেন - যে ব্যক্তি তত্ত্বজ্ঞানহীন তথা যে কখনও বিচারই করেননি , যে শিব স্বয়ং সকলের পালন পোষন করে থাকেন , সেই শিব তোমাদের পূজা , পাঠ , যাগ-যজ্ঞাদির কোনও রকম অপেক্ষা করে না এবং এসব বাহ্য কর্মের দ্বারা সন্তুষ্টও হয় না । অজ্ঞানী মূঢ় ব্যক্তিরাই পরমেশ্বর শিবকে পূূজা , পাঠ , যজ্ঞাদির দ্বারা প্রসন্ন করার প্রযত্ন করেন । হে পরমেশ্বর ! আপনি তো নিরাকার , পরিমানহীন এবং অনন্ত । আপনার মানুষের দেওয়া ভোগের কোনও লিপ্সা নেই এবং তাতে আপনি প্রসন্নও হন না । যার ঈশ্বর সম্পর্কে জ্ঞানই নেই সেই এরূপ অবিচার পূর্ণ কথা বলে থাকেন ।।32।।
এইরূপ কিঞ্চিৎ বেলপাতা এবং সামান্য জল দিয়ে যে ব্যক্তি প্রীতির সাথে আপনার অর্চণা করে , আপনি তা তৃপ্তির সাথে স্বীকার করে সন্তুষ্ট পূর্বক তাকে ত্রিলোক ও ঐশ্বর্য্য দান করেন এটাও মায়া দ্বারা কল্পিত এরূপ আমি মনে করি ।
এর ব্যাখ্যা --- শ্রীরামচন্দ্র বললেন যে -- যে ব্যক্তি মনে করেন ভগবান শিবকে দু-একটি বেলপাতা আর সামান্য জল দিয়ে অভিষেক করলেই তিনি প্রসন্ন হয়ে তাকে মুক্ত করে দেবেন , এটাও মায়া প্রসূত । অজ্ঞানতা বশতই লোক এরূপ মনে করেন । ।33।।
বন্ধুরা আমার এই ধর্মীয় পোস্ট শিবগীতা হয়তো আপনাদের ভালো লেগেছে , ভালো লাগলে অবশ্যই সোস্যাল মিডিয়াতে Share করুন । ওঁ নমঃ শিবায় , নমস্কার
উপনিষদ্ পরিচয় UPANISHAD PARICHAY
প্রিয় পাঠক আপনাদের সবাইকে নমস্কার জানিয়ে শুরু করছি আলোচ্য বিষয় উপনিষদ্ পরিচয় । উপনিষদ হিন্দু ধর্মের মহত্ত্বপূর্ণ ধর্মগ্রন্থ । যা ব...

-
নমস্কার বন্ধুরা , আজকের আলোচ্য বিষয় হলো " শিবগীতা " কি ? আপনারা সকলেই হয়তো ভগবদ্ গীতা সম্পর্কে জানেন কিন্তু শিবগীতা সম্পর্ক...
-
নমস্কার বন্ধুরা আজকে আমি আলোচনা করতে চলেছি শিব কে ? , শিবের পরিচয় কি ? পরমেশ্বর শিবকে প্রনাম জানিয়ে শুরু করছি আজকের আলোচিত বিষয় । ...
-
শিবগীতা :--বিশ্বরূপ দর্শণ নামক সপ্তম অধ্যায় অজ্ঞানমূঢ়া মুনয়ো বদন্তি পূজোপচারাদিব হি ক্রিয়াভিঃ। তোষং গিরীশো ভজতীতি মিথ্যা কুতস্...