রুদ্রজ ব্রাহ্মণ ভিজিট করার জন্য আপনাকে সুস্বাগতম

ধর্ম , সাহিত্য , কলা এবং শিক্ষা

বুধবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৮

শিব কে ? শিবের পরিচয়

নমস্কার বন্ধুরা আজকে আমি আলোচনা করতে চলেছি শিব কে ? , শিবের পরিচয় কি ?
 
পরমেশ্বর শিবকে প্রনাম জানিয়ে শুরু করছি আজকের আলোচিত বিষয় । প্রথমে জানবো শিব শব্দের অর্থ , শিব শব্দের শাব্দিক অর্থ হচ্ছে " কল্যাণকারী " বা " মঙ্গল। " ভগবান শিবের পাঁচটি মুখ রয়েছে , এই পাঁচ মুখ দিয়ে তিনি জগতের মঙ্গল করে থাকেন , তাই তিনি কল্যাণকারী বা শিব নামে পরিচিত । পাঁচ মুখ যথাক্রমে বামদেব , কালাগ্নি , দক্ষিনেশ্বর , ঈশান এবং কল্যাণ সুন্দরম্ । আবার কোথাও একে ঈশান , তৎপুরুষ , অঘোর , বামদেব এবং সদ্যোজাত নামেও উল্লেখিত হয়েছে । শিবের দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে " চিত্তিশক্তি " যা সকল প্রকার বন্ধন থেকে মুক্ত । শিবের তৃতীয় অর্থ " সদাশিব " । ব্রহ্মের সাকার এবং সগুণ রুপকে বলা হয় সদাশিব । তিনি আনুমানিক সাত হাজার বছর পূর্বে অবতরিত হয়েছেন । পরব্রহ্মের নানা শক্তির নানা অভিব্যাক্তিকে বলা হয়েছে দেবতা কিন্তু শিব এইসব দেবতাদেরও দেবতা । তাই তার এক নাম " মহাদেব "। যাকে পরব্রহ্ম বলা হয়েছে যিনি নিরাকার এবং নির্গুণ তিনিই ' শিব ' নামে বিখ্যাত । যা সৃষ্টির মূলতত্ত্ব তাই শিবতত্ত্ব । বিভিন্ন শাস্ত্রে একমাত্র শিবকেই ' ঈশ্বর ' রূপে মানা হয়েছে । ভগবান শিবই এই সম্পূর্ণ সৃষ্টির অনাদি দেব । যার মহিমা বেদ , পুরাণ , দর্শন , যোগ , তন্ত্র ইত্যাদি সাহিত্যে সর্বত্র বর্ণিত হয়েছে । ভারতের জন মানস যতটুকু বৈষ্ণব ধর্মে প্রভাবিত তার থেকে অনেক বেশি প্রভাবিত শৈবধর্মে । ভগবান শিব যোগী , ভক্ত , তান্ত্রিক , বেদান্তি , কর্মকাণ্ডী , উপাসক এবং দার্শনিক সকলের কাছে পূজনীয় । তিনিই জ্ঞান , কর্ম এবং ভক্তির আদি দেবতা । তিনিই পরমপুরুষ পরমব্রহ্ম । শিব এবং শক্তি মিলেই ব্রহ্ম তাই শিবকে ' অর্দ্ধনারীশ্বর ' বলা হয় । তার দক্ষিণ অঙ্গ শিব স্বরূপ এবং বাম অঙ্গ শক্তিরূপ । মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণ পরমেশ্বর শিবের স্তুতি করেছেন । মহাভারতের অনুশাসন পর্বে ( 15/11 ) লিখিত হয়েছে --- শিবের সমান দেব নেই , শিবের সমান গতি নেই , শিবের সমান দাতা নেই , শিবের সমান বীর নেই । বন্ধুরা শিব কে ? শিবের পরিচয় কি ? এর যথার্থ বর্ণনার শেষ নেই , এর আদি অন্ত নেই । সুতরাং আজ এই পর্যন্ত । পোস্টটি অনুগ্রহ করে সোস্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন । সবাইকে নমস্কার , ওঁ নমঃ শিবায় 

মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮

শিবগীতা Shivagita


শিবগীতা :- বিশ্বরূপ দর্শন নামক সপ্তম  অধ্যায় :--

ব্যাপ্নোষি সর্বা বিদিশো দিশশ্চ ত্বং বিশ্বমেকঃ পুরুষঃ পুরাণঃ। নষ্টেহপি তস্মিংস্তব নাস্তি হানির্ঘটে বিনষ্টে নভসো যথৈব ।।34।।
যথৈকমাকাশগমর্কবিম্ব ক্ষুদ্রেষু পাত্রেষু জলান্বিতেষু । ভজত্যনেকপ্রতিবিম্বভাবং তথা ত্বমন্তঃকরণেষু দেব ।।35।। ___________________________অনুবাদ :- আপনিই একমাত্র পুরাতন পুরুষ , সমস্ত দিক - বিদিক এবং সম্পূর্ণ বিশ্ব পরিব্যাপ্ত হয়ে বিরাজ করছেন । এই জগৎ ধ্বংস হয়ে গেলেও আপনার বিনাশ হয় না । যেমন করে ঘট নষ্ট বা ভেঙে গেলেও ঘটে ব্যাপ্ত আকাশের হানি হয় না ।
ব্যাখ্যা :-- বিশ্বরূপ দর্শণ করার পর রামচন্দ্র ঈশ্বরের প্রকৃত স্বরূপ জানতে পারেন । তাই তিনি পরমেশ্বর শিবকে বলছেন , হে প্রভু ! আপনিই ঈশ্বররূপে সর্বব্যাপী এবং বিনাশহীন । আপনি সর্বত্র বিরাজিত , আপনার থেকেই এই সম্পূর্ণ জগৎ সৃষ্টি হয়েছে । সৃষ্টির বিনাশ হয়ে গেলেও আপনার বিনাশ হয় না । যেমন ঘট ভেঙে গেলেও ঘটের ভেতরের আকাশ নষ্ট হয় না , সে বাহ্য আকাশে মিশে যায় । তেমনই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ধ্বংস হয়ে গেলেও আপনার বিনাশ হয় না । ঘট নষ্ট হতে পারে কিন্তু তার মাটি নষ্ট হয় না , যার থেকে নতুন ঘটের নির্মাণ হতে পারে । অনরূপ ভাবে বিনাশহীন ঈশ্বর হতে পুনঃ নতুন সৃষ্টি হয় ।।34।।
যে প্রকার আকাশে একমাত্র সূর্য্যের বিম্ব জলপূর্ণ ছোট ছোট পাত্রে প্রতিবিম্বিত হয়ে অনেক প্রকার বলে মনে হয় , সেই প্রকার আপনি এক এবং অদ্বিতীয় হয়েও নানা লোকের নানা অন্তরে নানা রূপে প্রকাশিত হন
ব্যাখ্যা :-- সমস্ত শরীরধারীর মধ্যে যে আত্মা রয়েছে সেইসব আত্মা কি ভিন্ন ভিন্ন না এক । এই ভাবনাকে স্পষ্ট করার জন্য রামচন্দ্র বলছেন , একই সূর্য্যকে , একই প্রকাশকে যদি পৃথক পৃথক রূপের অনেক জলপাত্রে দেখা যায় , তবে একই সূর্য্যকে অনেক এবং ভিন্ন ভিন্ন বলে মনে হবে । অজ্ঞানীজন পাত্রের ভিন্নতার কারণ সূর্য্যকেই ভিন্ন ভিন্ন বা অনেক মনে করেন । তারা ভাবেন ভিন্ন পাত্রে ভিন্ন সূর্য্য রয়েছে । ঠিক এভাবেই বিভিন্ন মানুষের অন্তঃকরণরূপী পাত্রে একই ঈশ্বরের বিম্ব পতিত হয় কিন্তু অজ্ঞানীজন আত্মাকে ভিন্ন ভিন্ন বিবেচনা করে বলে থাকেন যে , সকলের আত্মা ভিন্ন ভিন্ন হয় । বাস্তবে অন্তঃকরণই ভিন্ন ভিন্ন হয় , আত্মা সকলের একই হয় । যে ব্যাক্তি অন্তঃকরণকেই আত্মা মনে করেন সেই ব্যাক্তি আত্মাকে ভিন্ন ভিন্ন বা অনেক বলে মনে করেন ।।35।।
নমস্কার বন্ধুগণ ভালো লাগলে পোস্টটিকে অবশ্যই সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন ।
ওঁ নমঃ শিবায় , হর হর মহাদেব।

সোমবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৮

ধর্ম কি ? What is dharma ?

বন্ধুরা অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে , ধর্ম কি ? ধর্ম কাকে বলে ? এর আক্ষরিক অর্থ কি ? 
বন্ধুগণ আজকে আমি ধর্ম কি ? এই বিষয় নিয়ে কিছু আলোচনা করবো ।
ধর্ম মানে ধারণ , অর্থাৎ যাকে ধারণ করা যায় , ধর্ম মূলতঃ কর্ম প্রধান । কোনও কিছুর গুণ সমূহকে যা প্রদর্শিত করে থাকে তাই ধর্ম । ধর্মকে আমরা গুণও বলতে পারি । ধর্ম শব্দে গুণ , এই অর্থ শুধুমাত্র মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয় , পদার্থের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য । যেমন জলের ধর্ম প্রবাহিত হওয়া , আগুনের ধর্ম আলো বিকিরণ করা , গরম প্রদান  করা এবং স্পর্শে বস্তুকে পুড়ে ছাই করে দেওয়া ইত্যাদি । ধর্ম পদার্থের হোক কিংবা মানুষের , সারা পৃথিবীর পদার্থ এবং মানুষের ধর্ম একই হয়ে থাকে । তারজন্য দেশ রং রূপ ভেদে কোনও পার্থক্য হয় না । ধর্ম সার্বকালিক অর্থাৎ প্রত্যেক কালে প্রত্যেক যুগে ধর্মের স্বরূপ একই থেকে যায় । ধর্ম কখনও বদল হয় না । উদাহরণ হিসেবে জল কিংবা আগুনের ধর্ম সৃষ্টি হতে আজ পর্যন্ত একই রয়ে গিয়েছে , কোনও রূপ পরিবর্তন ঘটেনি । ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে মূলভূত পার্থক্য আছে । যেহেতু ধর্মের অর্থ গুণ এবং জীবনে ধারণ করার যোগ্য বোঝায় , সেহেতু ধর্ম প্রত্যেক মানুষের জন্য এক বা সমান হওয়াই আবশ্যক । যখন প্রত্যেক পদার্থের ধর্ম সার্বভৌমিক তখন প্রতিটি মানব জাতির ধর্মও সার্বভৌমিক বলে মনে করি । সুতরাং মানুষের ক্ষেত্রে তার ধর্ম মানেই মানবধর্ম । মানবতা যেমন সত্য কথা বলা , অসহায় দুর্বলকে সাহায্য করা , অন্যের জিনিস আহরণ না করা ইত্যাদি । এটাই হিন্দু কিংবা মুসলমান সকলের ধর্ম , এটাই মানবধর্ম । হিন্দু , মুসলমান , খ্রিস্টান , বৌদ্ধ প্রভৃতি ধর্ম মূলতঃ মানুষের ধর্ম নয় , এসব এক একটা সম্প্রদায় মাত্র । সম্প্রদায় যা এক পরম্পরাকে মেনে চলা সমূহ । নমস্কার বন্ধুরা , ধর্ম কি ? নিয়ে বক্তব্য এখানেই শেষ করলাম । ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুক । ওঁ নমঃ শিবায় ।।

বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৮

শিবগীতা কি ? What is Shivagita

নমস্কার বন্ধুরা , আজকের আলোচ্য বিষয় হলো " শিবগীতা " কি ? 
আপনারা সকলেই হয়তো ভগবদ্ গীতা সম্পর্কে জানেন কিন্তু শিবগীতা সম্পর্কে ঠিক ততটা জানেন না । তাই আজকে আমি শিবগীতা সম্বন্ধেে একটা
সাধারন জ্ঞান প্রকাশিত করছি । যে প্রকার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখ থেকে ভগবদ্গীতা  বের হয়েছে , অনুরূপ ভাবে ভগবান শিবের মুখারবিন্দ থেকে বের হয়েছে এই " শিবগীতা। " মহাভারতের ভীষ্ম পর্ব থেকে ভগবদ্গীতা এসেছে , এবং সেখানে মোট আঠারোটি অধ্যায় রয়েছে । তাকে কৃষ্ণার্জুন সংবাদ বলে উল্লিখিত করা হয়েছে । ঠিক তেমনই পদ্মপুরাণে উল্লিখিত শিবরাঘব সংবাদ শিবগীতা নামে প্রসিদ্ধ । এখানেও আঠারোটি অধ্যায় রয়েছে । এই আঠারোটি অধ্যায় যথাক্রমে - শিবভক্তি নিরূপণ , বৈরাগ্য উপদেশ , বিরজাদীক্ষা নিরূপণ , শিব প্রাদুর্ভাব , রামকে বর প্রদান , বিভূতি যোগ , বিশ্বরূপ দর্শন , পিণ্ডোৎপত্তি কথন , দেহ স্বরূপ নির্ণয় , জীব স্বরূপ কথন , জীব গতি নিরূপণ , উপাসনা জ্ঞান ফল , মোক্ষ নিরূপণ , পঞ্চকোশোপপাদন , ভক্তিযোগ , গীতা অধিকারী নিরূপণ , ব্রহ্ম নিরূপণ যোগ এবং জীবন্মুক্তি স্বরূপ নিরূপণ যোগ । যেভাবে অর্জুনের প্রশ্নের উত্তরে ভগবদ্গীতা সামনে এসেছে , সেভাবেই শ্রীরামচন্দ্রের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে প্রকাশিত হয়েছে এই শিবগীতা । শিবগীতা আধ্যাত্ম বিদ্যার এক অসামান্য গ্রন্থ যেখানে বেদান্তের সার বস্তু সমাহিত হয়েছে । বেদান্ত যাকে ব্রহ্ম বলে বলেছেন তাকে এখানে শিব নামে অভিহিত করা হয়েছে । শিবই এই সৃষ্টির নির্মাতা , পালন কর্ত্তা এবং সংহার কর্ত্তা । সম্পূর্ণ সৃষ্টি পরমেশ্বর শিবের শক্তির রূপ বলা হয়েছে , বেদান্ত তাকে মায়া শক্তি নামে আখ্যায়িত করেছেন । এই মায়াশক্তিকে অতিক্রম করে পরব্রহ্ম বিষয়ে জ্ঞাত হওয়াই মুক্তির একমাত্র উপায় । এই জ্ঞান তথা মুক্তির জন্যই পরমেশ্বর শিব ব্রহ্ম , শিব থেকে সৃষ্টির রচনার বর্ণনা , শরীর রচনার বর্ণনা , শিব সাধনা , শিবপূজার বিধান , সংসারের অসারতা , তত্ত্বজ্ঞান , কর্মফল , বিরজা দীক্ষা , শিবের বিরাট স্বরূপ , শিবের বিভূতি , জীবের গতি , মুক্তির স্বরূপ , ভক্তির বিধি , ধ্যান যোগ ইত্যাদি অনেক আধ্যাত্মিক রহস্যের উদ্ঘাটন করেছে এই শিবগীতা । এই দৃষ্টিতে শিবগীতার মহত্ব সর্বাধিক । জ্ঞান প্রাপ্তির জিজ্ঞাসুদের জন্য এই শিবগীতা গ্রন্থ অতি মহত্বপূর্ণ । আশাকরি কিছুটা হলেও , শিবগীতা কি ? এর উত্তর দিতে পেরেছি । যদি পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তবে দয়া করে Share করবেন । নমস্কার , ওঁ নমঃ শিবায় ।

শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৮

Shivagita শিবগীতা

শিবগীতা :--বিশ্বরূপ দর্শণ নামক সপ্তম অধ্যায়

 
 অজ্ঞানমূঢ়া মুনয়ো বদন্তি পূজোপচারাদিব হি ক্রিয়াভিঃ।
তোষং গিরীশো ভজতীতি মিথ্যা কুতস্ত্বমূর্তস্য তু ভোগলিপ্সা ।।32।।
কিঞ্চিদ্দলং বা চুলকোদকং বা যস্ত্বং মহেশ প্রতিগৃহ্য দৎসে ।
ত্রৈলোক্যলক্ষ্মীমপি যজ্জনেভ্যঃ সর্বত্ববিদ্যাকৃতমেব মন্যে ।।33।।
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
অনুবাদ -- জ্ঞানহীন অবিচারী মুনিরাই বলেন , ভগবান শিব পূজা বা যজ্ঞাদির মতো বাহ্যিক কর্ম দ্বারা সন্তুষ্ট হয় ,কিন্তু একথা প্রকৃত পক্ষে মিথ্যা । কারণ যিনি মূর্তিহীন , পরিমাণহীন এবং অনন্ত তার কোনও ভোগবাসনা নেই ।
এর ব্যাখ্যা --- বিশ্বরূপ দর্শণ করার পর রামচন্দ্রের আত্মজ্ঞানের উদয়  হয় । তখন রামচন্দ্র ভগবান শিবকে বললেন - যে ব্যক্তি তত্ত্বজ্ঞানহীন তথা যে কখনও বিচারই করেননি , যে শিব স্বয়ং সকলের পালন পোষন করে থাকেন , সেই শিব তোমাদের পূজা , পাঠ , যাগ-যজ্ঞাদির কোনও রকম অপেক্ষা করে না এবং এসব বাহ্য কর্মের দ্বারা সন্তুষ্টও হয় না । অজ্ঞানী মূঢ় ব্যক্তিরাই পরমেশ্বর শিবকে পূূজা , পাঠ , যজ্ঞাদির দ্বারা প্রসন্ন করার প্রযত্ন করেন । হে পরমেশ্বর ! আপনি তো নিরাকার , পরিমানহীন এবং অনন্ত । আপনার মানুষের দেওয়া ভোগের কোনও লিপ্সা নেই এবং তাতে আপনি প্রসন্নও হন না । যার ঈশ্বর সম্পর্কে জ্ঞানই নেই সেই এরূপ অবিচার পূর্ণ কথা বলে থাকেন ।।32।।
এইরূপ কিঞ্চিৎ বেলপাতা এবং সামান্য জল দিয়ে যে ব্যক্তি প্রীতির সাথে আপনার অর্চণা করে , আপনি তা তৃপ্তির সাথে স্বীকার করে সন্তুষ্ট পূর্বক তাকে ত্রিলোক ও ঐশ্বর্য্য দান করেন এটাও মায়া দ্বারা কল্পিত এরূপ আমি মনে করি ।
এর ব্যাখ্যা --- শ্রীরামচন্দ্র বললেন যে -- যে ব্যক্তি মনে করেন ভগবান শিবকে দু-একটি বেলপাতা আর সামান্য জল দিয়ে অভিষেক করলেই তিনি প্রসন্ন হয়ে তাকে মুক্ত করে দেবেন , এটাও মায়া প্রসূত । অজ্ঞানতা বশতই লোক এরূপ মনে করেন । ।33।।
বন্ধুরা আমার এই ধর্মীয় পোস্ট শিবগীতা হয়তো আপনাদের ভালো লেগেছে , ভালো লাগলে অবশ্যই সোস্যাল মিডিয়াতে Share করুন । ওঁ নমঃ শিবায় , নমস্কার 

উপনিষদ্ পরিচয় UPANISHAD PARICHAY

প্রিয় পাঠক আপনাদের সবাইকে নমস্কার জানিয়ে শুরু করছি আলোচ্য বিষয় উপনিষদ্ পরিচয় । উপনিষদ হিন্দু ধর্মের মহত্ত্বপূর্ণ ধর্মগ্রন্থ । যা ব...